হঠাৎ করেই ঢাকার মাটিতে পা দেন সানি লিওন। বিশেষ ফ্লাইটে শনিবার (১২ মার্চ) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকায় আসেন তিনি। মুম্বাই থেকে বিশেষ ফ্লাইট VT-TRI চড়ে ঢাকায় আসেন সানি লিওন।

ঢাকায় নেমে ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্ট করেন সানি। শনিবার (১২ মার্চ) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে শেয়ার করা ছবিতে এয়ারপোর্টে দেখা গেছে তাকে। ক্যাপশনে লেখা: ‘সুন্দর এই দেশে এসে আমি অনেক খুশি।’

সংগীতশিল্পী কৌশিক হোসেন তাপসের আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছিলেন সানি লিওন। সঙ্গে এসেছেন তার স্বামী ড্যানিয়েলসহ ছয়জন। উপলক্ষ্য ছিল কৌশিকের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া। অনুষ্ঠান শেষে রোববার (১৩ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ২০ মিনিটের ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন সানি লিওন। প্রায় ১৯ ঘণ্টা বাংলাদেশে অবস্থান করেছিলেন সানি লিওন।

সানি লিওনের ঢাকায় আসার বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন তার পাবলিকেশন্স ম্যানেজার ইব্রাহিম। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ। সানি ঢাকায়। কিন্তু কেন সেটা আমি জানি না।’

তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন গান বাংলা টেলিভিশনের মুখপাত্র রুদ্র হক। শনিবার বিকেলে বলেন, ‘আমাদের কাছে এ রকম কোনো তথ্য নেই। আমরা এ ব্যাপারে কিছু জানি না। আমাদের সিইও-র (তাপস) সঙ্গে সানি লিওন আগে কাজ করেছেন। ছবিটি আগেরও হতে পারে। এটি ফানও হতে পারে।’

এদিকে সেলিম খান প্রযোজিত ‘সোলজার’ সিনেমার চিত্রায়ণে অংশ নিতে ঢাকায় আসার কথা ছিল সানি লিওনের। বাংলাদেশে কাজের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল সংশ্লিষ্ট দফতরে। নিয়ম মেনে আবেদন করেছিল প্রযোজনা সংস্থা ‘চেয়ারম্যান ফিল্ম সিন্ডিকেট’। ৫ মার্চ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন সানি লিওন। ২ মার্চ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছিল।

পরে সানি লিওনের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ৯ মার্চ জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অনিবার্য কারণে অভিনেত্রী করণজিৎ কর ওয়েভারের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

ঠিক কী কারণে বাতিল করা হয়েছে সানি লিওনের অনুমতি, তা জানা যায়নি। তবে অনুমতির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সানি লিওনের প্রকৃত নাম করণজিৎ কর ওয়েভার। তার নাগরিকত্ব উল্লেখ করা হয়েছে আমেরিকা। দেওয়া হয়েছিল তার মার্কিন পাসপোর্ট নম্বর।

এর আগে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল সানি লিওনের। সেবার ইসলামিক সংগঠনগুলোর বাধার মুখে অনুমতি দেওয়া হয়নি তাকে।

 

 

কলমকথা/ বিথী